বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম

যারা ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাদের জন্য আজকের এখানে রয়েছে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়। কোন কোন উপায়ে আপনারা YouTube Earning‌ করা সম্ভব সে বিষয়টি। চলুন এখন আমরা নিচে থেকে ইউটিউব ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জেনে নেই। 

বিশ্বের অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্মের জগতে অন্যতম একটি হচ্ছে ইউটিউব। এখানে প্রায় কয়েক বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে যারা সরাসরি এটি ব্যবহার করে থাকেন। এখানে সকল শিক্ষামূলক, বিনোদন, টিপস এবং ট্রিকসহ যাবতীয় সকল ধরনের ভিডিও গুলো পাওয়া যায়। যা প্রতিদিন প্রচুর মানুষ দেখে থাকেন। আর এই প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে অনেকেই লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করে নিচ্ছে। 

তবে কত টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে তা নির্ভর করবে আপনার উপর। মূলত youtube এর ইনকাম নির্ভর করে অডিয়েন্সের উপর এবং কি ধরনের কন্ট্রোল দিচ্ছেন সে বিষয়ের উপরে। ইউরোপীয় কান্ট্রি থেকে দর্শক বেশি থাকলে সেখানে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে বেশি আয় করা সম্ভব হয়। সেজন্য আপনাকে দিতে হবে ইংলিশ কনটেন্ট এবং ঐ রিলেটেড টপিকের উপর। অর্থাৎ আপনার কন্টেন্টের উপরে নির্ভর করবে আপনি কি পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন। এছাড়াও নির্ভর করবে আপনার দর্শকের উপর।

বিভিন্ন উপায়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম 

বেশ কয়েকটি ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় রয়েছে। এখন এর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি এবং অন্যান্য নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। একজন শুরু থেকেই আয় করার সুযোগ পাবেন।

ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে আয় 

Best YouTube Earning Source এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশন। মূলত এ পদ্ধতি হচ্ছে ইউটিউব থেকে অফিসিয়াল পদ্ধতিতে আয় করার নিয়ম। কিন্তু এখান থেকে আয় করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যার জন্য প্রয়োজন হবে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম। একই সঙ্গে থাকতে হবে কমিউনিটি গাইডলাইনের সকল নিয়মকানুন মেনে চলা। এ সকল শর্ত পূরণ হলে এডসেন্সের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর এপ্রুভ হলে তখন থেকেই আপনি এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন পাবেন এখানে। আর সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আপনার আয় শুরু হবে। ১০০ ডলার হলে এখান থেকে পেমেন্ট উঠানো সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

যদি চ্যানেলে প্রচুর পরিমাণে ভিডিওগুলোতে ভিউ হয়ে থাকে তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ই কমার্স অথবা অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে প্রথমে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করতে হবে। এজন্য ওই রিলেটেড ভিডিও বেশি বেশি আপলোড করতে হবে এবং সার্ভিস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিতে হয়। দেখা যায় একটি ভিডিওতে যদি ১০ হাজার দর্শক দেখে থাকেন তাহলে ওখান থেকে মিনিমাম ৫০ থেকে ১০০ টি সার্ভিস বিক্রি হয়ে থাকে। যা থেকে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি।

স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় 

আরেকটি যে উপায়ে আয় করা যায় সেটি হচ্ছে স্পন্সরশিপের মাধ্যমে। এখন অনেকেই তাদের মার্কেটিং এর জন্য স্পন্সরশিপ গুলো অনলাইনে দিয়ে থাকেন। আর ইউটিউব ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে এখানে অনেকে দিয়ে থাকেন। কেননা এতে করে মানুষ প্রোডাক সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন এবং এনালাইসিস করতে পারেন। যদি আপনার চ্যানেলটিতে প্রতিটি ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়ে থাকে তাহলে ব্যাপক হারে স্পন্সারসিপ পেতে পারেন। এজন্য বড় বড় কোম্পানি নিকট আবেদন করুন এবং স্পন্সারশিপ নিয়ে আয় করতে পারেন।

উপরের এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আপনারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায় করা যায় তবে এগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং সহজ।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার নিয়ম 

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর সেখানে একটি কভার ফটো এবং প্রোফাইল পিকচার দেওয়া লাগবে। তবে এখানে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হচ্ছে অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি ভিডিও আপলোড করতে হবে। শুধুমাত্র ভিডিও নয় এর সাথে সংযুক্ত অডিও কপিরাইট ফ্রি এবং তাদের নির্দিষ্ট গাইড লাইনের ভিতরে থাকতে হবে। তা না হলে এইসব ভিডিও আপলোড করা সম্ভব হবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post